বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী বলেছেন,ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে যে পরিবর্তন এসেছে, দেশ থেকে যে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, এ দেশ যে নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে; আজকে আমরা স্বাধীন, প্রাণ খুলে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, মুক্ত হাওয়ায় চলতে পারছি; সেই পরিবর্তনের প্রাথমিক মাইলস্টোন ছিল ২৮ অক্টোবর। ২৮ অক্টোবর না ঘটলে ৫ আগষ্ট নাও ঘটতে পারতো।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে আদাবর শেখেরটেকে ৩০ ওয়ার্ড বিএনপির স্হানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শহীদ আব্দুর রশিদ এর ১ম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান ঢালী এসব কথা বলেন।
আতাউর রহমান ঢালী বলেন, আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। গত ১৫ টা বছর ধরে এ দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করে আসছে। আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমরা এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়েছি,প্রয়োজনে আরও সময় দিবো। তবে নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই। দেশে নির্বাচিত সরকার না আসলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলেন- সার্বিক সংস্কার বলেন- কোন কিছুই হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন,আজ বাংলাদেশে কোন আওয়ামী লীগ নাই। আওয়ামী লীগ সব বিএনপি হয়ে গেছে। তারা নব্য বিএনপিতে তৈরি হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ নব্য বিএনপির হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি দখলদারি ও লুটতরাজ করছে। এদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন ভাবে আপনাদের কারও হাত ধরে দলে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে।কিন্তু বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর সুযোগ নাই,কোন স্হান নাই। যদি আপনাদের সহযোগিতায়- যদি কেউ দলের ভিতরে অনুপ্রবেশ করার সুযোগ পায়,তাহলে সেও বিএনপি করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবেন।
আমিনুল হক বলেন, শহীদ আব্দুর রশিদ এর হত্যার ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল,যারা আমার ভাই রশিদকে হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। এই হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা বা দুষ্কৃতকারীরা কেউ যদি এখনও এরেস্ট না হয়ে থাকে-আপনাদের দায়িত্ব ঐ হত্যাকারী-দুষ্কৃতকারীদেরকে ধরিয়ে দেয়া।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে প্রস্তাবনা রাখবো- যাতে শহীদ আব্দুর রশিদের নামে রাস্তাটির নামকরণ রাখা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য আবুল হাশেম, আদাবর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সরকার, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনায়েতুল হাফিজ,এম এস আহমাদ আলী, মীর কামাল, ৩০ ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সালামত হোসেন সালাম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, ১০০ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন শিকদার, আদাবর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি -এইচ এম মোজাম্মেল হক, সহ সভাপতি - আরিফুল ইসলাম সোহাগ, জে এইচ সাদ্দাম, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক - মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক - ইমদাদুল হক ভূইয়া রাকিব, ৩০ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি - রিয়াজ খান, সদ্য সাবেক আহব্বায়ক মোজাম্মেল হাসান হৃদয়, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক - আনোয়ার হোসেন শান্ত প্রমুখ।